সিবিএন ডেস্ক

জুলাই সনদকে ঘিরে দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ। সনদ বাস্তবায়ন ও স্বাক্ষর নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে। একসময় সংস্কারভিত্তিক ঐক্যে যুক্ত থাকলেও এখন দলগুলোর অবস্থান ও বক্তব্যে স্পষ্ট বিভাজন দেখা দিয়েছে।

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, নোট অব ডিসেন্ট ও গণভোট ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান এ বিষয়ে এক নয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, “এরা নতুন দল, তাদের প্রতি আমাদের স্নেহ আছে, কিন্তু রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা শূন্য। একটা ভুল হয়েছে, এদের মন্ত্রিসভায় নেওয়া। বাইরে থাকলে সমর্থন আরও বাড়তো।”

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা একসঙ্গে আছি, একসঙ্গে থাকব—এটাই প্রত্যাশা। তবে যদি এটি কারও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য হয়, তার দায় তাদেরই নিতে হবে।”

এদিকে, জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সময়সীমা শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এনসিপি বলছে, আইনি ভিত্তিসহ তিনটি শর্ত পূরণ হলে তবেই তারা স্বাক্ষর করবে। আখতার হোসেন জানান, “সনদের বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

বিএনপি–জামায়াত সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয় যখন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে লিখেন, “পিআর আন্দোলন ছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা।”

এ বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অগ্রাধিকারের পরিবর্তনেই সংস্কার আলোচনাটি গুরুত্ব হারিয়েছে।”

অন্যদিকে, জামায়াত নেতা আযাদ প্রশ্ন তোলেন, “যারা আজ বলে পিআর দলীয় এজেন্ডা, তারা কি এখন পিআরের বিপক্ষে?”

সবশেষে বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, “নতুন দল সময়ের সঙ্গে ভালো হবে। তারা কী বলেছে সেটা জনগণও গুরুত্ব দেয় না।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই সনদকে ঘিরে এই দ্বন্দ্ব ভবিষ্যৎ জোট রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।